পাঁচগাঁও, নেত্রকোণা: প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা এক পাহাড়ি গ্রাম
পাঁচগাঁও, নেত্রকোণা বাংলাদেশের একটি সুন্দর পাহাড়ি গ্রাম। চন্দ্রডিঙ্গা পাহাড়, ঝর্ণা এবং স্থানীয় ঐতিহ্য একে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু করে তুলেছে।
ঢাকার জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরটি বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী দর্শনার্থীদের জন্য এক অসাধারণ গন্তব্য। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক প্রদর্শনী, প্রযুক্তির ইতিহাস, এবং বিশেষ ইন্টারঅ্যাকটিভ সেশন সরবরাহ করে এটি।
১৯৬৫ সালের ২৬ এপ্রিল, তৎকালীন পাকিস্তান সরকার ঢাকায় জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর(National Museum of Science and Technology) প্রতিষ্ঠিত করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটি নানা স্থান পরিবর্তন করেছে, শুরুতে ঢাকা গণগ্রন্থাগার ভবনে স্থানান্তরিত হয় এবং পরবর্তীতে ১৯৭০ সালের এপ্রিল মাসে চামেলীবাগে চলে যায়। এরপর ১৯৭১ সালের মে মাসে ধানমন্ডির ১নং সড়কে স্থাপন করা হয়। ১৯৭২ সালে সরকার এটিকে জাতীয় জাদুঘরেরমর্যাদা প্রদান করে, এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে এটি একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। ১৯৮৭ সালে এটি নতুন ভবনে চলে আসে, যা বর্তমানে রাজধানী ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় অবস্থিত।
Table of contents [Show]
জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত প্রদর্শনী কেন্দ্রগুলোর মধ্যে একটি। জাদুঘরটি একটি ৪ তলা বিশিষ্ট ভবনে অবস্থিত, যার প্রথম এবং দ্বিতীয় তলায় প্রদর্শনশালা, তৃতীয় তলায় অফিস এবং চতুর্থ তলায় বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমিরয়েছে। এটি মূলত সাতটি গ্যালারি নিয়ে সাজানো হয়েছে। এখানে আপনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নানা দিক সম্পর্কে জানার সুযোগ পাবেন, যেখানে রয়েছে পদার্থবিজ্ঞান গ্যালারি, জীববিজ্ঞান গ্যালারি, পরমাণু কর্নার, শিল্প প্রযুক্তি গ্যালারি সহ আরও অনেক চমৎকার প্রদর্শনী।
বিশেষভাবে, এখানে বাংলাদেশের সেরা বিজ্ঞানীদের ব্যবহার্য জিনিসপত্র এবং বাংলাদেশের প্রথম আইবিএম কম্পিউটারসহ বিভিন্ন অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি প্রদর্শিত হচ্ছে। এছাড়াও এখানে রয়েছে একটি গ্রন্থাগার, কর্মশালা এবং মিলনায়তন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর-এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অমূল্য সুযোগ সরবরাহ করে। এখানে শিক্ষার্থীরা বাস্তবসম্মতভাবে বিজ্ঞানের নানা দিক হাতে কলমে শিখতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে পদার্থবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, পরমাণু বিজ্ঞান, রোবোটিক্স, এবং আরও অনেক শাখার অজস্র বৈজ্ঞানিক ধারণা। বিজ্ঞান শিক্ষার স্থানহিসেবে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে দর্শনার্থীদের জন্য প্রবেশমূল্য ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। 4D/9D মুভি দেখার টিকেট মূল্য ৪০ টাকা, টেলিস্কোপ দিয়ে আকাশ দেখার টিকিট মূল্য ১০ টাকা এবং VR মুভি দেখার জন্য টিকিট মূল্য ২০ টাকা।
জাদুঘরের সময়সূচীঅনুযায়ী, এটি রবিবার থেকে বুধবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। গ্রীষ্মকালীন সময়ে শুক্রবার এবং শনিবারের সময়সূচী একটু ভিন্ন, বিস্তারিত সময়সূচী জানা যাবে এখানে।
ঢাকার যেকোনো স্থান থেকে সিএনজি, ট্যাক্সি অথবা বাসে চড়ে আগারগাঁওয়ে অবস্থিত জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরপৌঁছানো যায়। মেট্রোতে আগারগাঁও স্টেশনে নেমে কিছুটা হেঁটে বা রিক্সায় যেতে হবে।
জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর-এর আশেপাশে আরও বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে, যেমন বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর, নভোথিয়েটার, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জাদুঘর, চন্দ্রিমা উদ্যান ইত্যাদি। আপনি চাইলে এসব জায়গাগুলোকেও ঘুরে দেখতে পারেন।
জাদুঘরে প্রবেশ এবং অন্যান্য প্রদর্শনীর টিকেট অনলাইনে কেনা যায়। অনলাইনে টিকেট কাটতে এখানেক্লিক করুন।
জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর শুধু একটি স্থাপনা নয়, এটি একটি জ্ঞানভান্ডার, যেখানে বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী যে কেউ বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে। প্রতিদিন হাজারো দর্শনার্থী এখানে এসে বিজ্ঞানের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অবহিত হন। এটি বাংলাদেশের বিজ্ঞান শিক্ষাকে আরও সুদৃঢ় করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
পাঁচগাঁও, নেত্রকোণা বাংলাদেশের একটি সুন্দর পাহাড়ি গ্রাম। চন্দ্রডিঙ্গা পাহাড়, ঝর্ণা এবং স্থানীয় ঐতিহ্য একে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু করে তুলেছে।
বান্দরবানের লামা উপজেলার দর্শনীয় স্থান, ঘোরাঘুরির খরচ, কিভাবে যাবেন এবং থাকার ব্যবস্থাসহ পূর্ণাঙ্গ ভ্রমণ গাইড।
মিরিঞ্জা ভ্যালি, লামা: পাহাড়, মেঘের খেলা, মাতামুহুরী নদীর সৌন্দর্য ও রোমাঞ্চকর রিসোর্ট অভিজ্ঞতা। বিস্তারিত জানুন এখানে।