পাঁচগাঁও, নেত্রকোণা: প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা এক পাহাড়ি গ্রাম
পাঁচগাঁও, নেত্রকোণা বাংলাদেশের একটি সুন্দর পাহাড়ি গ্রাম। চন্দ্রডিঙ্গা পাহাড়, ঝর্ণা এবং স্থানীয় ঐতিহ্য একে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু করে তুলেছে।
বিবি বেগনী মসজিদ, বাগেরহাটের ঐতিহাসিক স্থান, নির্মিত হয়েছিল পঞ্চদশ শতকে খান জাহান আলীর আমলে। মসজিদটির স্থাপত্য এবং শিল্পকলার বিশেষ বৈশিষ্ট্য ঘুরে দেখুন।
Table of contents [Show]
বাগেরহাটজেলার সদর উপজেলায় অবস্থিত বিবি বেগনী মসজিদ(Bibi Begni Mosque) একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা, যা ষাট গম্বুজ মসজিদথেকে প্রায় ৮০০ মিটার পশ্চিমে, ঘোড়া দীঘির পাড়ে অবস্থিত। পঞ্চদশ শতকের খান জাহান আলী আমলে এই মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। যদিও মসজিদের নামকরণ নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে প্রচলিত কথিত ইতিহাসে জানা যায় যে, বিবি বেগনী ছিলেন খান জাহান আলীর একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী বা তার স্ত্রী, এবং সেই নামানুসারেই মসজিদটির নামকরণ করা হয়।
বিবি বেগনী মসজিদের স্থাপত্য সজ্জা বাগেরহাটের আরও একটি মসজিদ, সিঙ্গাইর মসজিদ-এর সাথে যথেষ্ট মিল রয়েছে, যা এই অঞ্চলের ঐতিহাসিক স্থাপত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ। এই মসজিদটি বর্গাকার আকৃতির এবং তার চার কোণে চারটি গোলাকার মিনার রয়েছে। গম্বুজের উপরে একটি বড় গম্বুজ থাকলেও, মসজিদটির অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য এবং নির্মাণশৈলী বেশ চমৎকার।
বিবি বেগনী মসজিদের বাইরের দৈর্ঘ্য ১৬.১৫ মিটার, অভ্যন্তরের দৈর্ঘ্য ১০.০৫৮ মিটার এবং দেয়ালগুলোর পুরুত্ব ৩.০৪৮ মিটার। মসজিদের পূর্ব দিকে তিনটি খিলান সহ দরজা রয়েছে এবং উত্তর ও দক্ষিণ দেয়ালে একটি করে খিলান সহ দরজা রয়েছে। পশ্চিম দেয়াল বরাবর তিনটি অলংকৃত মেহরাব রয়েছে, যার মধ্যে কেন্দ্রীয় মেহরাবটি তুলনামূলক বড় এবং পোড়া মাটি দিয়ে সুসজ্জিত। এই স্থাপত্য ডিজাইন মুসলিম যুগের ঐতিহ্যকে ধারণ করে, যা সেই সময়ে নির্মিত মসজিদগুলোর জন্য একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিবি বেগনী মসজিদে যাওয়ার জন্য ঢাকা থেকে বাস বা ট্রেনে বাগেরহাট পৌঁছানো সম্ভব। ঢাকার সায়েদাবাদও গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে শাকুরা, পর্যটক, হানিফ, সোহাগ, ফাল্গুনি, দোলা, ঈগল সহ বিভিন্ন পরিবহনের বাসে বাগেরহাট যেতে পারবেন। এছাড়াও, ঢাকা থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে খুলনাগামী আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে (কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস, চিত্রা, রূপসা, সুন্দরবন এক্সপ্রেস) চড়ে বাগেরহাট পৌঁছানো সম্ভব। বাগেরহাট পৌঁছানোর পর রিকশায় চড়ে সোজা মসজিদের কাছে পৌঁছাতে পারবেন।
বাগেরহাট শহরে কিছু ভালো হোটেল রয়েছে যেখানে আপনি থাকতে পারেন। এই শহরের জনপ্রিয় হোটেলগুলো মধ্যে মমতাজ হোটেল, হোটেল মোহনা, হোটেল আল আমিন, রেসিডেন্সিয়াল হোটেল, হোটেল অভি, হোটেল ফুয়াদ আবাসিক, জারিফ আবাসিক এবং হোটেল ধানসিঁড়ি অন্যতম। এই হোটেলগুলোতে সস্তা থেকে মধ্যম দামে থাকার ব্যবস্থা পাওয়া যায়।
বাগেরহাট শহরে খাওয়ার জন্য কিছু ভালো রেস্টুরেন্টও রয়েছে। এর মধ্যে জনপ্রিয় রেস্টুরেন্টগুলো হলো রাধুনি হোটেলও ধানসিঁড়ি হোটেল, যা স্থানীয় খাবারসহ বিভিন্ন রকমের খাবারের জন্য বিখ্যাত। বাগেরহাটের অন্যতম জনপ্রিয় খাবার হলো নারিকেল চিংড়ি, যা মাছের স্বাদে নতুন একটি অভিজ্ঞতা দিতে পারে।
নিশ্চিতভাবেই! আপনি চাওয়া অনুযায়ী বাগেরহাট জেলার অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলোকে ইন্টারলিংক করেছি:
বাগেরহাট জেলা একাধিক ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক দর্শনীয় স্থানসমৃদ্ধ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থানগুলো হলো:
বিবি বেগনী মসজিদ শুধুমাত্র একটি স্থাপত্যের সৌন্দর্য নয়, এটি বাগেরহাট অঞ্চলের ইতিহাস এবং সংস্কৃতির একটি অমূল্য অংশ। এখানে এসে আপনি মসজিদের শিল্পকলার সাথে পরিচিত হতে পারবেন, এবং বাগেরহাটের অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে দেখারও সুযোগ পাবেন। এই স্থানটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব, নির্মাণশৈলী এবং স্হানীয় সংস্কৃতির সাথে সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা এক নতুন মাত্রা যোগ করে।
পাঁচগাঁও, নেত্রকোণা বাংলাদেশের একটি সুন্দর পাহাড়ি গ্রাম। চন্দ্রডিঙ্গা পাহাড়, ঝর্ণা এবং স্থানীয় ঐতিহ্য একে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু করে তুলেছে।
বান্দরবানের লামা উপজেলার দর্শনীয় স্থান, ঘোরাঘুরির খরচ, কিভাবে যাবেন এবং থাকার ব্যবস্থাসহ পূর্ণাঙ্গ ভ্রমণ গাইড।
মিরিঞ্জা ভ্যালি, লামা: পাহাড়, মেঘের খেলা, মাতামুহুরী নদীর সৌন্দর্য ও রোমাঞ্চকর রিসোর্ট অভিজ্ঞতা। বিস্তারিত জানুন এখানে।